বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৭ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
আদালতের আদেশ অমান্য করে জামালগঞ্জে চাটনী বিলে জোরপূর্বক মাছ ধরার অভিযোগ

আদালতের আদেশ অমান্য করে জামালগঞ্জে চাটনী বিলে জোরপূর্বক মাছ ধরার অভিযোগ

মো মানিক মিয়া, জামালগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা: সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাক ইউনিয়নে বিঞ্জ আদালতের নিষেধ অমান্য করে চাটনী বিলে জোরপূর্বক মাছ ধরার লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতায় হাওরাঞ্চলের অবকাঠামো ও জীবন মান উন্নয়ন প্রকল্প হিলিপ’ চাটনী বিল ব্যবহারকারী সংগঠন কোষাধ্যক্ষ মোহাইমিন গত রোববার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দাখিল করেন।
তার লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, ১৪২৩ বাংলা সনের সরকারি ইজারা মূল্য পরিশোধ করে বাঁশকাঠা স্থাপন করে বিল তদারকি করে আসছেন তার সংগঠনের লোকজন। রেজাউল করিম টিটু, শহিদুল ইসলাম, আলেকচান গংরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে দেশিয় অস্ত্র নিয়ে চাটনী জলমহালে জোরপূর্বক মাছ ধরে। চাটনী বিলের পাহারাদার তাদের নিষেধ-বাধা করলে রেজাউল, শহীদুল, আলেকচান গংরা পাহারাদারকে হত্যার হুমকি দেয়। পাহারাদার দৌড়ে পালিয়ে গেলে বিবাদীরা বিল থেকে ৫ লক্ষাধিক বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরে নিয়ে যায়। উল্লেখ্য, বিঞ্জ আদালতের স্থগিত আদেশ অমান্য করে বিবাদীগণ জোরপূর্বক মাছ ধরিয়া নিয়ে যায়। অপরদিকে, দক্ষিণ লক্ষিপুর চাটনী বিলপাড়া মৎস্য সমবায় সমিতির সদস্য গোলাম মস্তফা, পাশা মিয়া, রুনু মিয়ার লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, আমাদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলামসহ আরও কিছু অসাধু প্রভাবশালী দাঙ্গা প্রকৃতির লোক বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক মাছ ধরার পায়তারা করে। এই নিয়ে এলাকার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশাঙ্কা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রেজাউল করিম টিটু বলেন, আমি এ বিষয়ে জানি না, বিলে মাছ ধরছে চাটনী পাড়ার সমিতির লোকজন। উপজেলা প্রকৌশলী শিপলু কর্মকার বলেন, বিজ্ঞ আদালতের আদেশ অমান্য করে কেউ যদি মাছ ধরে তার বিরুদ্ধে আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে হবে। হিলিফের সমিতির লোকজনকে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে বলেছি। জামালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবুল হাসেম বলেন, একপক্ষ বিজ্ঞ আদালতের আদেশ মান্য করে বিরত রয়েছে, অন্যপক্ষ কিভাবে মাছ ধরে সেই বিষয়ে আমি অবগত নই, এটা হিলিপ প্রকল্পের কর্মকর্তাদের বিষয় উনার ভাল বলতে পারবেন। এ ব্যাপারে জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রসূণ কুমার চক্রবর্তী বলেন, আমি অভিযোগ পেয়েছি, থানার ওসি ও উপজেলা প্রকৌলশীকে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com